এলার্জি আসলে কী? চোখে দেখা সম্ভব? জেনে নিন আজই!
আমি একজন প্রফেশনাল বাংলা কনটেন্ট রাইটার। আজকে আমি তোমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, সেটা হলো ‘এলার্জি’। আমাদের দেশে এলার্জির সমস্যা দিন দিনই বাড়ছে। তাই আমাদের সকলের এলার্জি সম্পর্কে জানা জরুরি। এই আর্টিকেলে আমি এলার্জি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তোমরা এখান থেকে এলার্জি সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে পারবে, যেমন: এলার্জি কি, এলার্জির লক্ষণ কি কি, এলার্জির কারণ কি কি, এলার্জির চিকিৎসা কি কি, এলার্জি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় এবং এলার্জি কি চোখে দেখা সম্ভব। তাই এলার্জি সম্পর্কে সবকিছু জানতে এখানে থাকো।
এলার্জি কী?
এলার্জি একটি অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যা দেহের নির্দিষ্ট পদার্থের প্রতি হয়ে থাকে। এই পদার্থগুলোকে অ্যালার্জেন বলা হয়। যখন আপনার শরীর একটি অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসে, তখন আপনার ইমিউন সিস্টেম একে আক্রমণকারী হিসেবে শনাক্ত করে এবং হিস্টামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। এই পদার্থগুলোই এলার্জির লক্ষণগুলোর কারণ হয়।
এলার্জির লক্ষণগুলি অ্যালার্জেনের ধরন এবং আপনার সংস্পর্শের পরিমাণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:
- চোখে জল গড়ানো, লাল হয়ে যাওয়া এবং চুলকানো
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চুলকানো এবং স্রাব হওয়া
- গলা খসখস করা এবং কাশি
- ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং জ্বালা
- পেটের ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া
- শ্বাসকষ্ট এবং হাঁচি
- অ্যানাফিল্যাক্সিস, একটি বিরল তবে জীবন-হুমকিরূপ এলার্জিক প্রতিক্রিয়া
এলার্জির লক্ষণাবলি
এলার্জি হল শরীরের একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা, যা সাধারণত নিরীহ পদার্থের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ঘটায়। এই পদার্থগুলিকে এলার্জেন বলা হয়। যখন তুমি কোন এলার্জেনের সংস্পর্শে আসো, তখন তোমার শরীর এটিকে হুমকি হিসাবে দেখে এবং তার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডিগুলি মাস্ট সেল নামক কোষগুলিকে ট্রিগার করে, যা হিস্টামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক মুক্ত করে। এই রাসায়নিকগুলি তোমার শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রদাহ এবং এলার্জির লক্ষণ।
এলার্জির লক্ষণগুলি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এলার্জেনের ধরনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- চোখের জল
- হাঁচি
- নাক বন্ধ বা চোঁটা
- গলা খিঁচুনি বা চুলকানি
- ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি বা প্রদাহ
- শ্বাসকষ্ট বা বুকের শক্ততা
- পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া
যদি তুমি এলার্জির লক্ষণগুলি অনুভব করছো, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিও। তারা তোমার লক্ষণগুলির কারণ নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং তোমাকে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারে।
এলার্জির কারণ
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণত বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের মতো হানিকারক পদার্থগুলিকে চিহ্নিত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং এটি কিছু নির্দিষ্ট পদার্থকে হানিকারক হিসাবে ভুল চিহ্নিত করতে পারে। এই পদার্থগুলিকে আমরা এলার্জেন বলি।
এলার্জেনগুলি মূলত প্রোটিনযুক্ত পদার্থ যা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের পরিবেশে বিদ্যমান। এগুলি খাবার, ধুলো, পোষা প্রাণী, নির্দিষ্ট গাছপালা বা এমনকি কিছু ওষুধে পাওয়া যেতে পারে। যখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কোনও নির্দিষ্ট এলার্জেনকে শনাক্ত করে, তখন এটি অ্যান্টিবডি নামক বিশেষ প্রোটিন তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডিগুলি শরীরের মাস্ট কোষগুলিকে সক্রিয় করে, যা হিস্টামিন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। হিস্টামিন আমাদের শরীরের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশের জন্য দায়ী, যেমন সর্দি, চোখ জল, ছিঁক দেওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং চুলকানি।
এলার্জির চিকিৎসা
এলার্জি একটি প্রচলিত রোগ যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া যা প্রায়শই হালকা থেকে গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। আমার নিজেরও এলার্জি আছে এবং আমি প্রথমবার এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম যখন আমি একটি ছোট্ট শিশু ছিলাম। এখন, আমি গুরুত্ব জানি কারণ এটি আমার জন্য জীবনকে খুব কঠিন করে তুলেছিল। এটি এমন কিছু যা আমার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই আমার সাথে থাকবে, তাই আমি এটি সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করছি।
এলার্জি প্রতিরোধের উপায়
মূলত এলার্জি একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এলার্জি হলো শরীরের একটি প্রতিক্রিয়া যা যখন কোনো বিষয়টি শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয় তখন সক্রিয় হয়। এলার্জির লক্ষণগুলো ব্যক্তিভেদে আলাদা হতে পারে, তবে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ চোখে জল আসা, হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাসকষ্ট এবং ত্বকে ফুসকুড়ি।
এলার্জি প্রতিরোধ করা কঠিন হতে পারে, তবে এটি সম্ভব। এলার্জি প্রতিরোধের জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করতে পারো তা হলোঃ
- এলার্জেন এড়িয়ে চলা: এলার্জির কারণ খুঁজে বের করা এবং তা এড়িয়ে চলা এলার্জি প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
- ঘর পরিষ্কার রাখা: ধুলাবালি, পোকামাকড় এবং পোষা প্রাণীর পশমের মতো এলার্জেনগুলো ঘরে জমতে পারে। ঘন ঘন ঘর পরিষ্কার করা এবং এলার্জেনগুলো সরানো এলার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- এলার্জি প্রতিরোধক ওষুধ সেবন করা: অ্যান্টিহিস্টামিন এবং নাসাল স্প্রে সহ বিভিন্ন এলার্জি প্রতিরোধক ওষুধ রয়েছে যা এলার্জির লক্ষণগুলো উপশম করতে পারে।
- ইমিউনোথেরাপি: ইমিউনোথেরাপি এলার্জি প্রতিরোধের একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা যা শরীরকে এলার্জেনের বিরুদ্ধে সহনশীলতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
এই এলার্জি প্রতিরোধ করা সহজ নয়, তবে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে তুমি তোমার এলার্জির লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারো।
এলার্জি কী চোখে দেখা সম্ভব?
মূলত এলার্জি হলো শরীরের একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যা সাধারণত বাইরের কিছু পদার্থের সংস্পর্শে আসার ফলে ঘটে। এসব পদার্থকে অ্যালার্জেন বলা হয়। অ্যালার্জেন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন: খাদ্য, ঔষধ, ধুলো, পরাগরেণু, পোকামাকড়ের কামড়, ইত্যাদি। আমরা যখন কোন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসি, তখন আমাদের শরীর তাদের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যাদের ইমিউনোগ্লোবুলিন ই (IgE) বলা হয়। এই অ্যান্টিবডিগুলি আমাদের শরীরের মাস্ট কোষগুলিতে সংযুক্ত থাকে। যখন আমরা আবার সেই অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসি, তখন অ্যালার্জেনগুলি এই ইমিউনোগ্লোবুলিন ই অ্যান্টিবডিগুলির সাথে যুক্ত হয়, যার ফলে মাস্ট কোষগুলি ডিগ্রানুলেট হয়। এই ডিগ্রানুলেশন প্রক্রিয়ায় হিস্টামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা এলার্জির উপসর্গগুলির কারণ হয়।
এলার্জি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু এর উপসর্গগুলি খুব স্পষ্ট। এলার্জির উপসর্গগুলি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে এবং হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। এলার্জির সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
- চোখ জল গড়ানো
- চোখের চুলকানি
- লালচে এবং ফোলা চোখ
- সর্দি
- হাঁচি
- বন্ধ নাক
- গলা ব্যথা
- খুশকি কাশি
- মাথাব্যাথা
- ক্লান্তি