অরবিটালে উপশক্তিস্তরের সংখ্যা নির্ণয়ের ম্যাজিক ফর্মুলা ‘2n-1’
আমি একজন পেশাদার বাংলা কন্টেন্ট রাইটার এবং আজ আমি তোমাদের সাথে পারমাণবিক কক্ষপথের উপশক্তিস্তর নির্ণয়ের সূত্র নিয়ে আলোচনা করব। এই আর্টিকেলে আমরা কক্ষপথের উপশক্তিস্তর নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্রগুলো বিস্তারিতভাবে দেখব। এছাড়াও, আমরা উপশক্তিস্তরের সাথে এন-এর সম্পর্ক, উপশক্তিস্তরের সংখ্যা গণনা, উপশক্তিস্তর সনাক্তকরণ এবং প্রধান কক্ষপথ এবং উপশক্তিস্তরের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করব। শেষে, আমরা কয়েকটি উদাহরণ এবং অ্যাপ্লিকেশন দেখব যা তোমাদের এই ধারণাগুলো বুঝতে সাহায্য করবে।
কক্ষপথে উপশক্তিস্তর নির্ণয়ের সূত্র
কক্ষপথের উপশক্তিস্তর নির্ণয়ের সূত্রটি হলো 2n-1, যেখানে n হলো মূল কোয়ান্টাম সংখ্যা। এই সূত্রটি বলে যে কোনো পরমাণুর nতম মূল কোয়ান্টাম অবস্থায় সর্বাধিক 2n-1টি উপশক্তিস্তর থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, n = 1 অবস্থায় (মূল অবস্থা) একটি কেবলমাত্র একটি উপশক্তিস্তর রয়েছে (2 x 1 – 1 = 1), n = 2 অবস্থায় দুটি উপশক্তিস্তর রয়েছে (2 x 2 – 1 = 3), এবং n = 3 অবস্থায় তিনটি উপশক্তিস্তর রয়েছে (2 x 3 – 1 = 5)। এই সূত্রটি পরমাণুর ইলেকট্রনিক কাঠামো বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
এন-এর ভূমিকা
অরবিটালে উপশক্তিস্তর নির্ণয়ের সূত্রটি হলো 2n-1। এই সূত্রটি ব্যবহার করে তুমি যেকোনো মৌলের উপশক্তিস্তরের সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি মৌলের মূলশক্তিস্তরের সংখ্যা n হয়, তবে তার উপশক্তিস্তরের সংখ্যা হবে 2n-1। যেমন, যদি একটি মৌলের মূলশক্তিস্তরের সংখ্যা 3 হয়, তবে তার উপশক্তিস্তরের সংখ্যা হবে 2(3)-1 = 5। এই সূত্রটি কেবল মূলশক্তিস্তরের জন্যই প্রযোজ্য।
উপশক্তিস্তরের সংখ্যা গণনা
যে কোনো পরমাণুর অরবিটালে চার ধরনের উপশক্তিস্তর রয়েছে। প্রত্যেকটি উপশক্তিস্তরে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক অরবিটাল থাকে। একটি অরবিটালে সর্বোচ্চ দুটি ইলেকট্রন থাকতে পারে। একটি পরমাণুর উপশক্তিস্তরের সংখ্যা নির্ধারণের সূত্র হলো 2n-1। যেখানে, n হলো প্রধান শক্তিস্তরের সংখ্যা।
উদাহরণস্বরূপ, n=1 হলে, উপশক্তিস্তরের সংখ্যা হবে 2(1)-1 = 1। অর্থাৎ, প্রধান শক্তিস্তর 1-এ একটি উপশক্তিস্তর থাকবে।
এভাবেই প্রধান শক্তিস্তরের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে উপশক্তিস্তরের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
প্রধান শক্তিস্তর (n) | উপশক্তিস্তরের সংখ্যা (2n-1) |
---|---|
1 | 1 |
2 | 3 |
3 | 5 |
4 | 7 |
এই সূত্রটি পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তর এবং তাদের উপশক্তিস্তরের সংখ্যা বুঝতে সাহায্য করে। কোনো একটি পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস নির্ধারণ করতে এই সূত্রটি অপরিহার্য।
উপশক্তিস্তর সনাক্তকরণ
ঊর্ধ্বমুখী উপশক্তিস্তরগুলি নির্ধারণের সূত্রটি হল 2n-1, যেখানে n হল প্রধান শক্তিস্তর। এই সূত্রটি কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে, আমাদের অরবিটালের গাণিতিক বৈশিষ্ট্যগুলি পরীক্ষা করতে হবে।
প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর n-টি উপশক্তিস্তর দ্বারা গঠিত, যেখানে n হল প্রধান শক্তিস্তরের সংখ্যা। উদাহরণস্বরূপ, দ্বিতীয় প্রধান শক্তিস্তরে (n=2) 2-1 = 1 উপশক্তিস্তর রয়েছে। এই উপশক্তিস্তর s হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।
তৃতীয় প্রধান শক্তিস্তরে (n=3), 3-1 = 2 উপশক্তিস্তর রয়েছে। এই উপশক্তিস্তরগুলি s এবং p হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। এইভাবে, প্রতিটি পরবর্তী প্রধান শক্তিস্তরের একটি অতিরিক্ত উপশক্তিস্তর থাকে।
এই উপশক্তিস্তরগুলিকে আরও আলাদা উপশক্তিস্তরগুলিতে বিভক্ত করা যেতে পারে। s উপশক্তিস্তরটিতে l=0 এর একটি একক উপশক্তিস্তর রয়েছে। p উপশক্তিস্তরে l=1 এর তিনটি উপশক্তিস্তর রয়েছে। d উপশক্তিস্তরে l=2 এর পাঁচটি উপশক্তিস্তর রয়েছে, এবং f উপশক্তিস্তরে l=3 এর সাতটি উপশক্তিস্তর রয়েছে।
2n-1 সূত্রটি আমাদের প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের জন্য উপশক্তিস্তরের সর্বাধিক সংখ্যা নির্ধারণ করতে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, তৃতীয় প্রধান শক্তিস্তরের জন্য, 2n-1 = 2(3)-1 = 5. অতএব, তৃতীয় প্রধান শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ 5টি উপশক্তিস্তর থাকতে পারে।
এই সূত্রটি অরবিটালের কাঠামো এবং আণবিক গঠনে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের রাসায়নিক বন্ধন এবং অন্যান্য পরমাণু স্তরের ঘটনাবলী বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে।
প্রধান কক্ষপথ এবং উপশক্তিস্তরের মধ্যে সম্পর্ক
প্রধান কক্ষপথ এবং উপশক্তিস্তরের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। একটি প্রধান কক্ষপথ একটি নির্দিষ্ট শক্তির স্তরকে বোঝায় যেখানে ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘোরে। যত বেশি প্রধান কক্ষপথ, ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াস থেকে তত বেশি দূরে থাকে এবং তাদের শক্তির স্তর তত বেশি হয়।
ফলে, উপশক্তিস্তরের সংখ্যা প্রধান কক্ষপথের নম্বরের উপর নির্ভর করে। প্রধান কক্ষপথের জন্য উপশক্তিস্তরের সংখ্যা নির্ধারণের একটি সূত্র রয়েছে: 2n-1। এই সূত্র অনুসারে, প্রথম প্রধান কক্ষপথে (n=1) একটি উপশক্তিস্তর রয়েছে, দ্বিতীয় প্রধান কক্ষপথে (n=2) তিনটি উপশক্তিস্তর রয়েছে, তৃতীয় প্রধান কক্ষপথে (n=3) পাঁচটি উপশক্তিস্তর রয়েছে, এবং তাই ঘটে।
উপশক্তিস্তরগুলি তাদের আকৃতি এবং শক্তির উপর ভিত্তি করে লিখিত অক্ষর, s, p, d, এবং f দ্বারা নির্দেশ করা হয়। প্রতিটি প্রধান কক্ষপথে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক উপশক্তিস্তর রয়েছে। প্রথম প্রধান কক্ষপথে শুধুমাত্র একটি s উপশক্তিস্তর রয়েছে, দ্বিতীয় প্রধান কক্ষপথে একটি s এবং একটি p উপশক্তিস্তর রয়েছে, তৃতীয় প্রধান কক্ষপথে একটি s, একটি p এবং একটি d উপশক্তিস্তর রয়েছে, এবং তাই ঘটে।
অ্যাপ্লিকেশন এবং উদাহরণ
অরবিটালগুলি হল ইলেকট্রনের তরঙ্গ-কণা দ্বৈত প্রকৃতির কারণে তাদের নিউক্লিয়াসের চারপাশে যে অঞ্চলগুলিতে পাওয়া যায়। প্রতিটি অরবিটালের একটি নির্দিষ্ট শক্তি স্তর থাকে, যা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n) দ্বারা নির্ধারিত হয়। প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা যত বেশি হবে, শক্তি স্তর তত উচ্চতর হবে।
অরবিটালের শক্তি স্তর নির্ধারণের জন্য একটি সূত্র হল:
এই সূত্রটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যেমন:
- ইলেকট্রন কনফিগারেশন নির্ধারণ করা
- রাসায়নিক বন্ধন ব্যাখ্যা করা
- পরমাণুর বর্ণালী রেখা পূর্বাভাস করা
উদাহরণস্বরূপ, n = 3 এর ক্ষেত্রে, শক্তি স্তরটি হবে:
E = -13.6 * (1/3^2) eV = -1.51 eV
এই শক্তি স্তরে 9টি অরবিটাল থাকতে পারে (2n-1 = 9)।