কৃষ্ণচূড়া: রঙিন ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম ও তাত্‍পর্য

আমি কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে আজকে আপনাদের সঙ্গে অনেকগুলো কথা বলবো। আমি বলবো কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম কি, কৃষ্ণচূড়া গাছ কেমন দেখতে, কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি, কৃষ্ণচূড়া ফুলের বিভিন্ন ব্যবহার কি কি, আমাদের সংস্কৃতিতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের তাৎপর্য কি।

উপরন্তু, কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে আরও অনেক কথা আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম

কৃষ্ণচূড়া, পালশ বা বকুল হল একটি রক্তবর্ণ ফুলের গাছ যা ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে খুব সাধারণ। এটি একটি মাঝারি আকারের গাছ যার উচ্চতা সাধারণত 10-15 মিটার হয়।

এই ফুলের একটি অত্যন্ত সুন্দর এবং আকর্ষণীয় চেহারা রয়েছে, যা এটিকে বাগান এবং পার্কের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দ করে তুলেছে। কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম হল বুটিয়া মনোসপার্মা। বুটিয়া জেনাসটি ফ্যাবিয়াসি পরিবারের একটি অংশ, যা মটরশুটি, মটর এবং মসুর ডালের সাথে সম্পর্কিত।

কৃষ্ণচূড়া গাছের বর্ণনা

কৃষ্ণচূড়া হল একটি বরণ্যজাত পর্ণপাতী লতাগুল্মবিশেষ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডেলনিক্স রেজিয়া। কৃষ্ণচূড়া গাছের উচ্চতা প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিটার হয়।

এর মূলস্তম্ভ বক্র এবং শাখাগুলো চারিদিকে বিস্তৃত হয়। পাতাগুলি লম্বা এবং ডিম্বাকৃতির এবং ৬ থেকে ১২ জোড়া পাতা থাকে।

কৃষ্ণচূড়া গাছের ফুল বড় এবং ঝকঝকে লাল রঙের। ফুলগুলি বড় গুচ্ছ হিসাবে খোলে এবং গাছটিকে একটি আকর্ষণীয় রূপ দেয়। প্রতিটি ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে, যা প্রায় ৫ থেকে ৮ সেন্টিমিটার লম্বা। ফুলগুলির মাঝখানে হলুদ রঙের পুংদন্ড থাকে।

কৃষ্ণচূড়া গাছের ফল একটি শুষ্ক শুঁটি। শুঁটিগুলি বাদামি রঙের এবং ৭ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা।

শুঁটির মধ্যে কালো রঙের বীজ থাকে। কৃষ্ণচূড়া গাছের কাঠ শক্ত এবং টেকসই। এটি আসবাবপত্র, নৌকা এবং অন্যান্য কাঠের সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৈশিষ্ট্য

কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হল ডেলোনিক্স রেজিয়া (Delonix regia)।

এটি সিজাল্পিনিয়াসি পরিবারের একটি প্রজাতি।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের ব্যবহার

কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হল ‘ডেলোনিক্স রেজিয়া’। এটি ‘পিওনিসিয়া রোজউড’ নামেও পরিচিত। দক্ষিণ ম্যাডাগাস্কার ও কমোরোস দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় গাছ এটি।

এছাড়াও এটি গণচীন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন ক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়ার গাছ মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এর পাতাগুলো পালকের মতো দেখতে। উজ্জ্বল লাল, কমলা বা সাদা রঙের এর ফুলগুলো গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হল ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটি ফেবেসি পরিবারের একটি প্রজাতি। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও মাদাগাস্কারের একটি স্থানীয় গাছ। কৃষ্ণচূড়া একটি আকর্ষণীয় ফুলের গাছ যা তার উজ্জ্বল লাল বা কমলা ফুলের জন্য পরিচিত।

এটি একটি পতনশীল গাছ যা সাধারণত 10-20 মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। এর পাতাগুলি দ্বিপক্ষীয় এবং এর ফুলগুলি ক্লাস্টারে জন্মায়। কৃষ্ণচূড়া ফুলের একটি দীর্ঘ ফুলের সময়কাল রয়েছে, সাধারণত বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত। ফুলগুলি অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং এটি প্রায়ই বাগান, পার্ক এবং রাস্তার পাশে একটি আলংকারিক গাছ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণচূড়া ফুলের বেশ কিছু औषধीय গুণ রয়েছে এবং এটি ভারতীয় এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহার করা হয়েছে।

উপসংহার

কৃষ্ণচূড়া, এই অসাধারণ ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম হল “ডেলোনিক্স রেজিয়া”। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের একটি প্রজাতি এবং মাদাগাস্কারের স্থানীয়। ক্রিস্টমাসের সময়ের কাছাকাছি প্রস্ফুটিত হওয়ার কারণে এটি “ক্রিসমাস ট্রি” নামেও পরিচিত।

এই গাছগুলি উষ্ণ জলবায়ুতে সবচেয়ে ভালভাবে বৃদ্ধি পায় এবং এদের লাল রঙের কুটিল ফুলগুলি ভীষণ আকর্ষণীয় হয়। তাদের পাতাগুলি বিস্তৃত এবং দ্বিগুণ পায়ের হয়, যা এই গাছগুলিকে একটি অद्वিতীয় চেহারা প্রদান করে। এর বীজগুলি চ্যাপ্টা এবং কালো রঙের হয়, এবং এগুলি প্রায়শই মালা বা সজ্জার মধ্যে ব্যবহৃত হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *