আমাদের অগ্নিমূর্তি কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম কী ছিল?
আমি একজন পেশাদার বাংলা কন্টেন্ট রাইটার। আমি আপনাদের কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম, ব্যক্তিগত জীবন, প্রথম বিয়ে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ, দ্বিতীয় বিয়ে এবং সুখী দাম্পত্য জীবন, কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেব। এই প্রবন্ধটি পড়ার পর, আপনি কাজী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবন এবং তাঁর স্ত্রীর ভূমিকা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। তাঁর জীবনের অজানা কিছু দিক সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম
ছিল প্রমিলা দেবী। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ময়মনসিংহ জেলার রঘুনন্দনপুর গ্রামের ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রমিলা দেবীর পিতার নাম ছিল সুবলচন্দ্র দেব এবং মাতার নাম সরজুবালা দেবী। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
প্রমিলা দেবীর এবং কাজী নজরুল ইসলামের বিয়ে হয় ১৯২৪ সালের ২৫ মে। তাদের দুই কন্যা সন্তান। একজনের নাম কল্পনা চৌধুরী এবং অন্যজনের নাম বুলবুল চৌধুরী। প্রমিলা দেবী একজন গৃহবধূ ছিলেন। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা এবং সাহিত্য কর্মের একান্ত ভক্ত ছিলেন। তিনি সবসময় নজরুলের পাশে ছিলেন এবং তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। প্রমিলা দেবী ১৯৮০ সালের ৪ মে ঢাকায় মারা যান। তাকে বনানী কবরস্থানে কাজী নজরুল ইসলামের পাশেই সমাহিত করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবন
বিদ্রোহের কবি, বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি ও ছিল ঘটনাবহুল ও রোমাঞ্চকর। ১৯২১ সালে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নজরুল ইসলাম। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল নবীন কুমারী দেবী। নবীন কুমারী কবির জীবনের প্রথম প্রেম ছিলেন। তাদের বিবাহ আন্তঃধর্মীয় ছিল, যা সেই সময়ের জন্য একটি смелое এবং প্রগতিশীল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
কিন্তু নবীন কুমারীর সঙ্গে নজরুল ইসলামের বিবাহ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯২৪ সালে তারা বিচ্ছেদ হয়ে যান। এই বিচ্ছেদ নজরুল ইসলামের জীবনে একটি বড় আঘাত হয়ে দাঁড়ায়। তবে, ১৯২৮ সালে নজরুল ইসলাম আবার বিবাহ করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিল প্রমীলা বসু। প্রমীলা ছিলেন একজন শিক্ষিতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক নারী। তিনি নজরুল ইসলামের সহধর্মিণী হিসেবে তার সারা জীবন তাকে সহায়তা করেছিলেন।
নজরুল ইসলাম এবং প্রমীলার দুটি সন্তান ছিল, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। তাদের ছেলের নাম ছিল কাজী সাব্বির ইসলাম এবং মেয়ের নাম ছিল কাজী নীলিমা ইসলাম। নজরুল ইসলামের পারিবারিক জীবন সুখী এবং সুস্থ ছিল, যা তাকে তার সৃজনশীল কাজে অনুপ্রাণিত করেছিল।
প্রথম বিয়ে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ
আমাদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল প্রমীলা দেবী। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি ও সমাজকর্মী। তিনি এবং নজরুলের বিয়ে হয়েছিল ১৯২৪ সালে। কিন্তু বিবাহের পর খুব একটা সুখী সময় কাটেনি তাঁদের। তাঁদের মধ্যে নানা মতপার্থক্য ও কলহ দেখা দেয়। কবির জীবনযাপন নিয়ে প্রমীলার খুব অভিযোগ ছিল। শেষে, ১৯42 সালে তাঁরা আইনত ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রমীলা দেবী আর কখনও বিয়ে করেননি। তিনি সারা জীবন অবিবাহিত থেকেছেন। তিনি সমাজকর্মের দিকে মন দিয়েছিলেন। তিনি অনেক অনাথ এবং গরীব মানুষের সেবা করেছেন। তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী এবং স্বাধীনচেতা নারী। তিনি তার সময়ের অনেক নারীর জন্য একটি অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি সাহিত্যেও তার অবদান রেখেছিলেন। তিনি কিছু কবিতা এবং স্মৃতিকথা লিখেছেন, তার মধ্যে “আমার জীবন স্মৃতি” উল্লেখযোগ্য।
দ্বিতীয় বিয়ে এবং সুখী দাম্পত্য জীবন
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সমাজে অনেক রকমের ধারণা প্রচলিত আছে। কেউ কেউ মনে করেন, দ্বিতীয় বিয়ে করাটা ভালো কিছু নয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দ্বিতীয় বিয়েও প্রথম বিয়ের মতোই সুখী হতে পারে। তবে, দ্বিতীয় বিয়ে যে সুখী হতে পারে, তার অনেক উদাহরণ আমাদের সামনে আছে। তবে, দ্বিতীয় বিয়ে যাতে সুখী হয়, তার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। প্রথমত, দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে ভালোভাবে ভেবে দেখা উচিত যে, তুমি কেন দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাও। দ্বিতীয়ত, যে মানুষটিকে তুমি বিয়ে করতে চাও, তার সঙ্গে তোমার কিছু কথা বলে নেওয়া উচিত। তাকে জানিয়ে দাও যে, তুমি কী চাও এবং কী আশা করো। তৃতীয়ত, দ্বিতীয় বিয়ের আগে এটাও ভেবে দেখা জরুরি যে, তুমি আগের সম্পর্ক থেকে কী শিখেছো। যদি তুমি আগের সম্পর্কের ভুলগুলো থেকে শিখে থাকো, তাহলে দ্বিতীয় বিয়েও সুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর অবদান
কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম প্রমীলা সেনগুপ্ত। তিনি ছিলেন ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা। নজরুলের বিপ্লবী কবিতা ও গানে উদ্বুদ্ধ হয়ে, তিনি স্বদেশ ও সংস্কৃতির প্রতি কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। নজরুলের সাথে বিয়ের পর, প্রমীলা তাঁর সাহিত্যিক কাজে সহায়তা করেন। তিনি নজরুলের কবিতা ও গানের পাণ্ডুলিপি তৈরি করতেন এবং তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। প্রমীলা নজরুলের লেখার প্রথম পাঠক ও সমালোচক ছিলেন। তাঁর সমর্থন ও সৃজনশীল প্রতিক্রিয়া নজরুলের লেখাকে আরও পরিশীলিত করতে সাহায্য করেছে। নজরুলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য জীবন কঠিন ছিল, তবে প্রমীলা সর্বদা তাঁর পাশে ছিলেন। নজরুলের রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতেন এবং তাঁর সহযোগী ছিলেন।
উপসংহার
আমাদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম ছিলো প্রমীলা বসু। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিতা ও সংস্কৃতিবান মহিলা। কাজী নজরুল ইসলামের সাথে তাঁর বিবাহ হয়েছিলো ১৯২৪ সালে। প্রমীলা বসু তাঁর স্বামীর সাহিত্যকর্মের অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি নজরুলের বেশ কয়েকটি গানে ও কবিতায় অমর হয়ে আছেন। নজরুল তাঁকে উদ্দেশ্য করে “ওগো বধূ সুন্দরী” গানটি রচনা করেছিলেন। প্রমীলা বসু কাজী নজরুল ইসলামের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী ছিলেন। তিনি তাঁর স্বামীর সফলতা ও কীর্তির অন্যতম সাক্ষী ছিলেন।